জলবায়ু সংকট : বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা অলোক শর্মার
বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের (কোপ-২৬) প্রেসিডেন্ট অলোক শর্মা জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের নেতৃত্বকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি একই সঙ্গে আগামী কপে বাংলাদেশ কয়লাভিত্তিক শক্তি থেকে সরে আসার এবং জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা জমা দেওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন।
বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের (কোপ-২৬) প্রেসিডেন্ট অলোক শর্মা জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের নেতৃত্বকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি একই সঙ্গে আগামী কোপে বাংলাদেশ কয়লাভিত্তিক শক্তি থেকে সরে আসার এবং জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা জমা দেওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন।
শনিবার যুক্তরাজ্যের ঢাকা হাইকমিশন এ তথ্য জানিয়েছে।
কোপ-২৬ প্রেসিডেন্ট অলোক শর্মার গত ২-৪ জুন বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্য হাইকমিশন জানায়, অলোক শর্মা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সম্মিলিত লক্ষ্য ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সরকারের শীর্ষস্থানীয় নেতারা, জলবায়ু ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ও তরুণদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
অলোক শর্মার সফরকালে জলবায়ু সংকট নিরসনে উদ্যোগ গ্রহণ সম্পর্কে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের যৌথ বিবৃতি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই বিবৃতি দুই দেশের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার জন্য অভিযোজন, অর্থায়ন, পরিবেশবান্ধব জ্বালানি শক্তি ও সহযোগিতার ব্যাপারে দীর্ঘমেয়াদি 'ক্লাইমেট পার্টনারশিপ' এর ভিত্তি স্থাপন করেছে।
বাংলাদেশ সফরে কোপ-২৬ প্রেসিডেন্ট অলোক শর্মা জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের নেতৃত্বকে স্বাগত জানান।
এই সফরে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনসহ সরকারের শীর্ষস্থানীয় নেতারা, জলবায়ু ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ও তরুণদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে অলোক শর্মা বাংলাদেশ সরকারের কয়লাভিত্তিক শক্তি থেকে সরে আসার ইচ্ছা, পরিবেশবান্ধব ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তির প্রতি অধিক গুরুত্বারোপের সম্ভাবনা সম্পর্কে অবহিত হন। এই সম্ভাবনাগুলো বাস্তবায়িত হলে অর্থনৈতিক উন্নতি ও টেকসই কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। অদূর ভবিষ্যতের জন্য নেট জিরো লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে, বাংলাদেশের আগামী সপ্তাহের মধ্যে একটি জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান (এনডিসি) জমা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও অলোক শর্মা বাংলাদেশ থেকে পান।
অলোক শর্মার সফরকালে জলবায়ু সংকট নিরসনে উদ্যোগ গ্রহণ সম্পর্কে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের যৌথ বিবৃতি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এই বিবৃতি দুই দেশের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার জন্য দীর্ঘমেয়াদি 'ক্লাইমেট পার্টনারশিপ' এর ভিত্তি স্থাপন করেছে।
এই সফরে অলোক শর্মা সুন্দরবন পরিদর্শন করেন। পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত যা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেখানে তিনি দেখেছেন যে কিভাবে সুন্দরবন বায়ুর গতি প্রশমন করে ঝড়ের তীব্রতা থেকে আশেপাশের লোকালয়কে প্রাকৃতিক উপায়ে সুরক্ষা প্রদান করে। দুর্ভাগ্যক্রমে, শিল্পায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ফলে সুন্দরবনের এই প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। সুন্দরবনের আশেপাশের লোকালয়কে টেকসইভাবে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সাহায্য করছে এমন একটি এনজিওর কার্যক্রমও তিনি পরিদর্শন করেন।
অলোক শর্মা বাংলাদেশ সফরের আগে ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়া সফর করেন।